মায়ানমারে কাজের সাময়িক বিরতির দায়িত্বশীল ফ্রেমওয়ার্কাররা ব্যবস্থার সার-সংক্ষেপ

মায়ানমারে পরিস্থিতির জটিলতা এবং ভয়াবহতা নিম্নলিখিত ব্যবস্থার মধ্যে ধরা আছে। বলা হয়েছে যে ব্যবসা স্বাভাবিকভাবে চলেনি এবং কোম্পানিগুলির নিরাপত্তা এবং বানিজ্যিক পরিবেশের হেরফের ঘটেছে।

মায়ানমারে কারখানাগুলোয় কাজ সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখা অথবা কাজ তুলে নেওয়ার পরিস্থিতিতে অ্যাক্ট ব্র্যান্ডগুলো এই ব্যবস্থা বা ফ্রেমওয়ার্ক প্রয়োগ করতে সম্মত হয়েছে। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হলে ঐ ফ্রেমওয়ার্ক অনুসরণ করার প্রয়োজন হয়নি। অ্যাক্ট সদস্যরা ইন্ডাস্ট্রিঅলকে জানাতে দায়বদ্ধ।

অ্যাক্ট সদস্য ব্র্যান্ডগুলি দায়বদ্ধঃ

  • ব্যবসার চালানোর বর্তমান অবস্থান, ভবিষ্যত পরিকল্পনা (যেখানে সম্ভব), সরিয়ে নেবার প্রসঙ্গ এবং সংশ্লিষ্ট কারখানা ও শ্রমিক ইত্যাদি ব্যাপারে সরবরাহ শৃঙ্খলের অংশীদারদের সঙ্গে খোলাখুলি যোগাযোগ বজায় রাখা।
  • তৈরী পন্য এবং তৈরি হতে চলা পন্যের জন্য অর্থপ্রদান নিশ্চিত করা
  • ব্র্যান্ড অর্ডার পরিবর্তন করার প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে কাপড়ের জন্য সরবরাহকারীর বাড়তি টাকার দায়িত্ব নেওয়া।
  • শ্রমিকবৃন্দ ও কারখানার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব বুঝতে ঝুঁকি-ভিত্তিক প্রভাব মূল্যায়ণ করা। এর মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি যাদের, তাদের চিহ্নিত করা ও বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা করা। প্রভাব মূল্যায়ন এবং যথাযথ কাজ করে যে কারখানাগুলোয় কাজ চালু আছে আর যেগুলোর কাজ হচ্ছে না সেগুলোকে আলাদা করে ফেলা।
  • বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী যেখানে সম্ভব অ্যাক্ট ব্র্যান্ডের সঙ্গে সরবরাহকারীদের অথবা কর্পোরেট গ্রুপের মধ্যেকার পার্থক্যের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে শ্রমিকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব কমানো। ব্র্যান্ডকে সরবরাহকারী বা কারখানাকে লিখিতভাবে জানাতে হবে কোথায় কর্মী ছাঁটাই কিছুতেই এড়ানো যাচ্ছে না। এই ধরনের কর্মী ছাঁটাই স্থানীয় আইন প্রযুক্ত যৌথ রফা চুক্তি, মায়নমারের FOA নির্দেশিকা (সেকশন 4 দেখুন) এবং নিম্নলিখিত সংস্থান অনুযায়ী হবেঃ
  • যেখানে সম্ভব সেখানে কর্মদাতারা কর্মী ছাঁটাইয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবার আগে ভবিষ্যত কর্মসংস্থান/বাহুল্য ভাতার পরিকল্পনা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মী/কর্মীদের অথবা তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। (দেখুন FOA নির্দেশিকা, সেকশন 4, অনুচ্ছেদ 17)
  • যেখানে সম্ভব সেখানে কর্মদাতাদের ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে কর্মীদের লিখিত নোটিশ দিতে হবে।
  • কর্মদাতাদের ছাঁটাইয়ের আগে সমস্তরকম সম্ভাব্য বিকল্প খতিয়ে দেখতে হবে এবং দেখতে হবে ছাঁটাই হওয়া শ্রমিক যেন ন্যায্য ব্যবহার পায়।
  • কর্মদাতাদের ছাঁটাইয়ের সময় একটা নোটিশ পিরিয়ড দিতে হবে যাতে কর্মী/কর্মীরা ঐ সময়ের মধ্যে অন্য কোনো কাজের জন্য চেষ্টা করতে পারে।
  • কর্মদাতাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আইন অনুযায়ী সমস্ত বেতন, কর্মচ্যুতির ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা যে মিটিয়ে দেওয়া হয়।
  • সরবরাহকারী জানাবে কর্মীদের প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে (অর্থ গ্রহণের নথি দেখাতে হবে)।
  • কোনো ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় যে একটি চালু কারখানা ঐ সব প্রয়োজন মেটাতে অপারগ, তাহলে কারখানা ব্র্যান্ডকে জানাবে এবং অ্যাক্ট সদস্যরা যৌথভাবে ব্যাপারটা দেখবে। *লিখিতভাবে অর্থ ই-মেলসহ যেকোনো রকম লিখিত আকারে দিতে হবে।